দুর্গাপুজো হল পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব, যা শহরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে সামনে নিয়ে আসে। বিগত কয়েক বছর ধরেই আইটিসি-এর আশীর্বাদ আটা তাদের জনপ্রিয় কমিউনিকেশন এটা আমার মা'-এর অধীনে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছে বা চালিয়েছে, যেগুলির প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। অপার শক্তির অধিকারী মা দুর্গার মতো মায়েদেরও একাধিক অবতারে চিনতে এবং উদযাপন করতেই এই উদ্যোগ।
এই পুজোয়, আশীর্বাদ নিয়ে এসেছে একটি নতুন ক্যাম্পেইন 'মাতৃশক্তি'। যার লক্ষ্য মায়েদের ঐশ্বরিক ক্ষমতাকে আহ্বান জানানো। পুজোর মরশুমে এই বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে আশীর্বাদ মায়েদের সেই শক্তিকেই কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ বর্জিত একটি গ্রামের বাড়িগুলিকে আলোকিত করার জন্য তা বিদ্যুতে পরিবর্তিত করছে।
বাগবাজার পুজো মণ্ডপে আশীর্বাদ একটি প্রযুক্তি-সক্ষম এনার্জি ফ্লোর তৈরি করেছে৷ মণ্ডপে আগত সব মায়েদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে ওই মঞ্চে এসে ধুনুচি নাচ করার জন্য। মায়েদের নাচের দ্বারা উৎপন্ন এনার্জি বা শক্তিকেই বাস্তবে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা হবে।
উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে মালেকাংঘুমতি গ্রামের বিভিন্ন ঘরে আলো ছড়াতে সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে। এই গ্রামটি কলকাতা থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখানে হাজার হাজার লোকের বাড়িতে নিয়মিত বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। ভবিষ্যতে স্থানীয়রা যাতে নির্ভরযোগ্য কোনও উৎস থেকে নিয়মিত বিদ্যুত পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই ব্র্যান্ডটি তার সাসটেইনেবল প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, গ্রাম জুড়ে সোলার প্যানেল লাগাবে।
আশীর্বাদ মাতৃশক্তি, ক্যাম্পেইনটি মূলত উৎসবের আনন্দ দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। যা কিনা কলকাতার মায়েদের মালেকা ঘুমতি গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনে পরিবর্তন আনার জন্য পথ দেখাবে। আশীর্বাদ তার সঠিক পরিমাণে ফাইবার-সহ এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে, মায়েদের শক্তি এবং প্রতিশ্রুতি উদযাপনের সঠিক উদাহরণ।
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীদের আশীর্বাদ আটার তরফ থেকে সম্মান জানানো হবে। তাঁরা এআই-এর সাহায্যে মা দুর্গার অবতার মূর্ত করার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, মালেকাংঘুমতি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতি অবদানের জন্য, তাঁদেরকে একটি শংসাপত্র এবং থ্যাঙ্ক ইউ পোস্ট কার্ড দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে একটি
সিঁদুরের কৌটোও।
এই পুজোয় মায়েদের, মা দুর্গা হতে সক্ষম করার জন্য আশীর্বাদ-এর সঙ্গে হাত মেলান। কারণ তাঁরা তাঁদের ঐশ্বরিক শক্তি দিয়ে মানুষের জীবনকে আলোকিত করবেন।
0 Comments