Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নারায়ন মেমোরিয়াল হাসপাতালে বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস এবং ইন্স্যুলিনের ১০০ বছর উদযাপন


ডিজিটাল ডেস্কঃ নভেম্বর,২০২১ঃ 
সারা বিশ্বে বর্তমানে ৪২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তার মধ্যে ৭৭০ লক্ষ মানুষ ভারতেই রয়েছে, যারা ডায়াবেটিসের শিকার। এই রোগটি যথেষ্ট দুরারোগ্য একটি ব্যাধি, যার শিকার হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৭৬% মানুষ ডায়াবেটিক রোগী হয়ে যাবেন। এই কথা মাথায় রেখে 'ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস মান্থ-২০২১' নাম একটি থিমের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ভারতকে বিশ্বের দরবারে 'ডায়াবেটিক কেয়ার ক্যাপিটাল' হিসেবে তুলে ধরার কথাও ভাবা হচ্ছে। ২০২১ আরও একটি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য, এ বছর ইন্স্যুলিন আবিষ্কারের শতবর্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

ডাক্তারেরা বলছেন, প্রচুর ডায়াবেটিক রোগী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এটাও দেখা গেছে, অতিমারির সময়ে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রচুর মানুষকে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য ইন্স্যুলিনের ব্যবহার শুরু করতে হয়েছে। এমনও ভাবা হচ্ছে কোবিড-১৯ সরাসরি প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলে আঘাত হানছে।


এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নারায়ন মেমোরিয়াল হাসপাতালের সিইও শ্রীমতি সুপর্ণা সেনগুপ্ত জানাচ্ছেন, "লকডাউনের সময় আমরা HBA1c-এর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে দেখেছি। অপরিমিত এক্সারসাইজ, বাইরে বেরোনোর বাধা, সুষম আহার পর্যাপ্ত পরিমানে না পাওয়া, মানসিক স্ট্রেস টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যা তৈরী করেছে। এই পরিস্থিতি আমাদের এশিয়ান-ইন্ডিয়ান দেশের মানুষের ক্ষেত্রে প্রি- ডায়াবেটিক স্টেজ  থেকে T2DM এ রূপান্তরিত হয়েছে দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৫০%, যা যথেষ্ট ভয়ের ব্যাপার আগামী দিনে ডায়াবেটিস রোগী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে"। 

 এমডি, ডিএনবি, এমএনএএমএস, ডিএম (পিজিআই), এমআরসিপি  ডাঃ সুজিত ভট্টাচার্য্য জানান, "বিগত ১০০ বছর ধরে ইনস্যুলিন ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে জীবনদায়ী ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাণীর অগ্ন্যাশয়ের নির্যাস থেকে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে মানব দেহে ব্যবহারের উপযোগী ইনস্যুলিন তৈরী করা হয়। যত দিন এগিয়েছে তত উন্নত প্রযুক্তিতে এই ওষুধ উৎপন্ন হয়েছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য"। 

এমডি ডিএম ডাঃ ঈপ্সিতা ঘোষ বলেন, "প্যানডেমিকের বাড় বাড়ন্তে পোস্ট প্র্যান্ডিয়াল ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল প্রায় ৪৮% বেড়ে গেছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচার, অনিয়মিত এক্সারসাইজ, ফাস্ট ফুড বা অর্ডার দেওয়া খাবার খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি এই গ্লুকোজ লেভেল বৃদ্ধির অন্যতম কারন। মাত্র ১৮.৭% মানুষ সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলেছেন প্যানডেমিকের সময়। কিন্তু আমাদের প্রত্যেককে সচেতন করতে হবে এই ডায়াবেটিস অসুখটি সম্বন্ধে যাতে মানুষ এর থেকে দূরে থাকতে পারে এবং জীবনকে আরও স্থায়িত্ব দিতে পারে"। 

উল্লেখ্য, নারায়ন মেমোরিয়াল হাসপাতাল বৃহত্তর কলকাতার অন্যতম একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল যেখানে বিশ্ব মানের পরিষেবা দেওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। ২০০ বেড সম্বলিত এই হাসপাতালে স্বনামধন্য চিকিৎসক দ্বারা ২৪x৭ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। এমার্জেন্সি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারে ৪৮টি আইসিইউ বেড সহ নেগেটিভ প্রেসার যুক্ত ৫ টি অপারেশন থিয়েটার এবং যথেষ্ট উন্নতমানের গ্যাজেট রয়েছে এই হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার করার জন্য। এই হাসপাতালের বিশেষত্ব হল মাদার এন্ড চাইল্ড কেয়ার, রেসপিরেটরি মেডিসিন, নিউরোলজি, অর্থোপেডিক্স, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, ওপিডি ফেসিলিটি, ৩৬০ ডিগ্রি ডায়াগনিস্টিক সার্ভিস এবং ২৪x৭ অপারেশনাল ফার্মাসি।

Post a Comment

0 Comments