সপ্তর্ষি সিংহ: বিশ্ব কিডনি দিবসে শহরের বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকা হসপিটালে পুনরায় কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসা শুরু হল। বিশিষ্ট চিকিৎসক দিলীপ কুমার পাহাড়ীর নেতৃত্বে চিকিৎসক অভয় কুমার, চিকিৎসক সুজিত সিনহা,চিকিৎসক শিল্পীতা ব্যানার্জী, চিকিৎসক রোহিত রুঙটা কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারির বিষয়ে বিস্তৃত ব্যাখা করেন। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন হসপিটালের জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর অয়নভ দেবগুপ্ত।
আইজলের বাসিন্দা লালন পুঁই কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পর কিভাবে ছোট শিশুর জন্ম দিল এদিন সেই অভিজ্ঞতা তিনি তুলে ধরেন। ২০১২ সালে প্রথম কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয়, এরপর ২০২০ সালে অপর কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পর ২০২৩-এ মা হন তিনি। এই বিষয়ে চিকিৎসক শিল্পীতা ব্যানার্জী বলেন, কিডনির ডায়লেসিস্ চলার সময় রিপ্রোডাকশন কমে আসে। কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের ২৮-৩০ সপ্তাহ পর গর্ভধারণ করা যায়। সেই জায়গা থেকে লালনের কাছে এটা চ্যালেঞ্জ ছিল।
এই ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে ডাঃ পাহাড়ী বলেন, ১৯৮৯ সালে পিজি হাসপাতালে প্রথম কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসা শুরু হয়। ৯৪/৯৫ সালে যাদের সার্জারি করেছি তাঁদের মধ্যে অনেকে সুস্থ জীবন যাপন করছেন। মেডিকা হাসপাতালের বড় সুবিধা রিপোর্ট তৈরীর জন্য বাইরে পাঠাতে হয় না। নিজেদের হাসপাতালে সেন্টার রয়েছে। এদিন তাঁর ত্বত্তাবধানে যেসব রোগী কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসা হয়েছে তাঁরা উপস্থিত ছিলেন।
এই চিকিৎসা সম্পর্কে চিকিৎসক অভয় কুমার জানান, টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে ট্রেনিংয়ে থাকাকালীন খুব কাছ থেকে এই সার্জারি শিখেছি। আগে কিডনি টিউমার ধরা পড়লে বাদ দেওয়া হত, এখন চিকিৎসা উন্নত হওয়ায় কিডনি প্রিসার্ভ করা হচ্ছে। ইস্টার্ন ইন্ডিয়ায় মেডিকা রোবোটিক সার্জারি পদ্ধতিতে কাজ করে চলেছে।
0 Comments