ডিজিটাল ডেস্ক:- আধুনিকযুগে দাঁড়িয়েও আজও মেয়েদের মধ্যে রয়েছে পিরিয়ড (মাসিক বা ঋতুস্রাব)চলাকালীন বহু প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা, পরিচ্ছন্নতার অভাব, যা মানবসভ্যতার অগ্রগতিকে এক বিরাট প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয় ! সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রায় ৩৫কোটি ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা স্বচ্ছতার অধিকার থেকে বঞ্চিত। পিরিয়ড সম্পর্কে এখনো তারা অজ্ঞাতা এবং কুসংস্কারের শিকার।
কারণ একটাই, সচেতনার অভাব। তাই প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা এবং প্রচার। এই ধারণাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার হুগলির ভদ্রেশ্বরের গন্ডলপাড়া শাস্ত্রী হিন্দি হাই স্কুলে এনজিও মি অ্যান্ড মাই ফ্রেন্ডস এবং দ্য আর্ট অফ লিভিং - এর যৌথ উদ্যোগে হয়ে গেল মাসিক সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য বিষয়ে এক সচেতনতামূলক
ওয়ার্কশপ।
এদিন ওয়ার্কশপ সম্পর্কে দ্য আর্ট অফ লিভিং - এর শিক্ষিকা শ্রীমতী বন্দনা গর্গ জানান, ঋতুস্রাব এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অথচ আজও সমাজে মেয়েদের মধ্যে রয়েছে কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতা ,যার ফলে এখনো তারা এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতে লজ্জা পায়।
ফলস্বরূপ মেয়েরা কৈশোর জীবন থেকেই বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং স্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্য অনুশীলনগুলি সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যায়। এখানে ২দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ চলাকালীন আমরা এই স্কুলের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণীর প্রায় ১৫০ জন ছাত্রীদের মাসিক চক্র সম্পর্কিত স্বচ্ছতার সম্পর্কে অবগত করছি এবং একইসঙ্গে যোগাসন, মেডিটেশন ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি শেখানো হচ্ছে।
মি অ্যান্ড মাই ফ্রেন্ডস - এর প্রতিষ্ঠাতা কিষান কুমার আগরওয়াল বলেন, হুগলি জেলার অধীনে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলি আমরা চিহ্নিত করছি সেখানেও আমরা এই ধরনের সচেতনমূলক ওয়ার্কশপ করব। মহিলাদের মাসিক সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা খুবই প্রয়োজন।
এদিন সহকারী শিক্ষক অজয় কুমার সিং বলেন, "আমাদের স্কুলে এই ধরনের ওয়ার্কশপের ফলে ছাত্রীরা খুবই উপকৃত হলো।
অন্যদিকে, যোগা প্রশিক্ষক অর্চনা শর্মা জানান, পিরিয়ড চলাকালীন ব্যথা উপশমের জন্য বাটারফ্লাই, ভুজঙ্গাসন ইত্যাদি যোগাসন করা উচিত।
এদিন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শ্রী ওম বলেন, গন্ডলপাড়া একটি গ্রামীণ এলাকা তাই এখনকার মেয়েরা এ বিষয়ে নিজেদের পরিবারের সাথে কথা বলতেও দ্বিধা বোধ করে, এমতাবস্থায় এ ধরনের ওয়ার্কশপ খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে।
এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
0 Comments