নিজস্ব প্রতিবেদন -
চলতি বছরের ৩রা জানুয়ারি নবদ্বীপে পানীয়জলের কানেকশন দিতে ৩০০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে এবং টাকা দিতে অপারগ লোকেদের পানীয়জলের কানেকশন বিনা নোটিশে কেটে দেওয়া হচ্ছে, এই সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়। এরপরেই নবদ্বীপ পৌরসভার তরফে ৮ সাংবাদিকদের নামে অভিযোগে নবদ্বীপ থানায় FIR দায়ের করা হয়। সেই ৮ জন সাংবাদিকদের মধ্যে এক সাংবাদিক শৌভিক ব্যানার্জি সরাসরি এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্ট এর দ্বারস্থ হন। এরপর এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩রা মে ২০২৩ মহামান্য হাইকোর্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনোরকম দমনমূলক পদক্ষেপ করা যাবে না বলে পুলিশকে অন্তবর্তী নির্দেশ দেন। সেই মামলা গত ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৩ হাইকোর্ট এর বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ পরবর্তী শুনানির দিন মামলার কেস ডায়েরি তলব করেছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি জানুয়ারি মাসে।
শৌভিক ব্যানার্জি জানান "প্রথমদিন থেকে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখেছি, আগামীদিনেও আশাবাদী যে সত্যের জয় হবে। প্রায় একবছর ধরে পুলিশি তদন্ত চলেছে, এবার সেই তদন্তে কতদূর কি পাওয়া গেছে, মহামান্য হাইকোর্ট খতিয়ে দেখবেন। যদি সত্যিই কোনো সাংবাদিক নবদ্বীপে দাংগা বাধিয়ে থাকেন, তার চরমতম শাস্তি হোক। কিন্তু যদি সেটা না হয়, সেক্ষেত্রে মিথ্যা এফআইআর দায়েরকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন। আমি আশাবাদী মহামান্য হাইকোর্ট সাংবাদিকদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দেবেন। কিন্তু যেটা দু:খের বিষয় সেটা হলো, আজও নবদ্বীপ শহরের সেই ভুক্তভোগী অত্যন্ত গরীব পরিবারটি পরিশুদ্ধ পানীয়জলবিহীন ভাবেই দিন কাটাচ্ছেন। স্রেফ ৩০০০ টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় তাদের বাড়ির পানীয়জলের কানেকশন বিনা নোটিশে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২২ রাতের অন্ধকারে কেটে দেওয়া হয়েছিলো। একবছর বাদেও সেই কানেকশন জোড়া হয়নি, এটা চূড়ান্ত অমানবিক আচরণ।"
0 Comments