Header Ads Widget

Responsive Advertisement

NB News ! এইচসিএলের নয়া উদ্যোগ !

কলকাতা:এইচসিএলের একটি উদ্যোগ, এইচসিএল কনসার্ট যা ভারতীয় শাস্ত্রীয় শিল্পকে লালন ও প্রচারের জন্য কাজ করে থাকে,তারা আজ কলকাতায় তাদের সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেছে।ভারতের দিল্লি, নয়ডা গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ,লখনউ,কানপুর,নাগপুর,মাদুরাই, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকো'র পরে সাহিত্য ও শিল্পের দুনিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পরিচিত,দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী শহর কলকাতা এইচসিএল কনসার্টের তেরোতম আয়োজক শহর হয়ে উঠবে। কলকাতার এই কনসার্টে তিন প্রজন্মের সঙ্গীত প্রতিভা অংশ নেবেন।সরোদের গ্র্যান্ড মাস্টার আমজাদ আলি খান তাঁর দুই ছেলে আমান ও আয়ান আলি বাসাশ এবং নাতি জোহান ও আবির আলি বাসাশ সঙ্গে পারফর্ম করে সরোদের স্মরণীয় উত্তরাধিকারকে তুলে ধরবেন।কলকাতায় উদ্বোধনী কনসার্টটি হবে ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ সন্ধ্যা ৭টা থেকে কলা মন্দির অডিটোরিয়ামে। এই শিল্পীদের সঙ্গে সহযোগী তবলা শিল্পীরা হলেন সত্যজিৎ ডালওয়ালকার এবং অনুব্রত চ্যাটার্জি।কনসার্টের টিকিট বুকমাইশো-এ পাওয়া যাবে।
 
কলকাতায় এইচসিএল-এর প্রথম এই কনসার্ট সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে, এইচসিএল কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট-স্ট্র্যাটেজি মিস্টার সুন্দর মাহালিঙ্গম বলেন,"সঙ্গীত আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত এবং এই ধরনের কনসার্টগুলি আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ও সেইসঙ্গে দশক ও এজ গ্রুপের বিচারে আমাদের উত্তরাধিকারকে পুনরুজ্জীবিত করে।এইচসিএল ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের বাস্তব ঐতিহ্যকে শিল্পের অনুরাগীদের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য কনসার্টের আয়োজন করে আসছে।সেই কারণে আমরা এই প্ল্যাটফর্মটিকে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কলকাতায়ও আনতে চেয়েছিলাম।আমাদের এহেন উদ্যোগের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য আমি সরোদ উস্তাদদের প্রতি কৃতজ্ঞ।তিন প্রজন্মের সঙ্গীত কিংবদন্তিদের নিয়ে সঙ্গীতের এই স্মরণীয় অনুষ্ঠান বাস্তবায়িত হবার জন্য আমি রোমাঞ্চিত।এহেন সঙ্গীত উজ্জ্বলতার সাক্ষী হবার ঘটনা প্রত্যেকের জন্যই একটি মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে। আমি নিশ্চিত যে এই সঙ্গীতের সভারটি শহরের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত অনুরাগীদের জন্য একটি অসাধারণ এবং অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করবে।"দুই নাতি, জোহান এবং আবিবের সঙ্গীত শেখার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে গিয়ে ওস্তাদ আমজাদ আলি খান বলেন, "সঙ্গীত শেখানো একটি অতুলনীয় যাত্রা যেখানে গুরু আপনাকে দৃশ্য থেকে অদৃশ্যের দিকে, বস্তু থেকে ঐশ্বরিক ক্ষনস্থায়ী থেকে অনন্তের দিকে নিয়ে যান।লকডাউন চলাকালীন সময়ে আমার ছেলে আয়ান জোহান এবং আবিরের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পেরেছিল।এর ফলে তাদের সঙ্গীতে দুর্দান্ত অগ্রগতি ঘটেছিল। ২০২০ সালে আমার জন্মদিনের জন্য তারা তাদের প্রথম ট্র্যাকটি বাজিয়েছিল, যার নাম ছিল 'আওয়ার লাভ।সেটি ছিল আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। আমি সবসময় আমার নাতিদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য উন্মুখ হয়ে থাকি। আমি তাদের প্রায়ই কিছু না কিছু শেখাই। সঙ্গীতের মূল্যবান উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তাদের আশীর্বাদ ও ভালবাসা প্রযোজন। আমি খুবই আনন্দিত যে তারা কলকাতায় তাদের প্রথম পাবলিক পারফরম্যান্স উপস্থাপন করতে পারছে।কলকাতা এমন একটি শহর যেটি আমাদের পরিবারের সব প্রজন্মকে আতিথেয়তা দিয়েছে।"
 
ভারতের শিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ এবং প্রচারের বিষয়টি এইচসিএল এর অন্তরের খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।এই কারণে, এইচসিএল গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এইচসিএল কনসার্টের আয়োজন করে আসছে, যা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গৌরবময় ঐতিহ্যের মধ্যে থাকে প্রতিভার লালন ও প্রচারের জন্য নিবেদিত।এইচসিএলের ছত্রছায়ায় কনসার্টগুলি সারা বছর নিয়মিতভাবে ভারতের দিল্লি এনসিআর, লখনউ,নাগপুর,মাদুরাই,কানপুর,চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোতে আয়োজিত হয়ে থাকে। ১৫০০ জনেরও বেশি শিল্পী এই প্ল্যাটফর্মটি উপভোগ করেছেন এবং ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তাঁদের অবদান রেখেছেন।সারা বছর ধরে, ভারতীয় পারফর্মিং আর্ট ইকোসিস্টেমের বৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য আরও প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল এইচসিএল কনসটি বৈঠক।এটি দক্ষ ও উদীয়মান ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পীদের ভার্চুয়াল পারফরম্যান্সের একটি সিরিজ।এছাড়াও রয়েছে এইচসিএল কনসার্ট সাউন্ডস্কেপস। এটি সুফি ফোক এবং ইন্ডি-পসের মত জেনার সহ ভারতীয় ল্যান্ডস্কেপ জুড়ে স্বাধীন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সঙ্গীত প্রদর্শন করে।এইচসিএল মিউজিক মোবাইল অ্যাপ যা সারা বিশ্বের সঙ্গীতপ্রেমীদের তাদের বাড়িতে আয়েশ করে বিনামূল্যে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সবচেয়ে ব্যাপক সংগ্রহ উপভোগ করার সুযোগ দেয়।

Post a Comment

0 Comments