অর্কিড দ্য ইন্টারন্যাশানাল স্কুল যা অন্যতম অগ্রণী আন্তর্জাতিক কে১২ চেইন অফ স্কুল, কলকাতা ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (কেএফটিআই)-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে ড্রিমক্যাচার্স নামক একটি চিত্তাকর্ষক চাইল্ড ট্যালেন্ট হান্ট শো-এর মাধ্যমে আরেকবার সামগ্রিক শিক্ষার প্রতি তার অঙ্গীকার পূরণ করে। গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানটি আজই সমাপ্ত হলো যার লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের কল্পনা, সডজনশীলতা এবং যুক্তিপূর্ণ চিন্তাভাবনার দক্ষতা প্রদর্শন করা এবং সেগুলি সযত্নে লালনপালন করা। ড্রিমক্যাচার্স সিজন ১-এ আমরা ৫ থেকে ১৩ বছরের শিশুদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দীতা এবং নতুন নতুন বিষয় আবিস্কার করতে সমর্থ হই।
গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় টালিগঞ্জের বিখ্যাত অভিনেতা জিতু কামাল, যিনি বহু-চর্চিত অপরাজিত নামক সিনেমায় সত্যজিত রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এবং বিখ্যাত সিনেমা নির্মাতা, থিয়েটার ব্যক্তিত্ব এবং ইন্ডো-অ্যাঙ্গলিয়ান কবি অশোক বিশ্বনাথন-এর উপস্থিতিতে। দু-দিনের প্রাথমিক অডিশন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ১লা ও ২রা ডিসেম্বর অর্কিড-এ নিউটাউন, জোকা এবং মধ্যমগ্রাম ক্যাম্পাসে, যেখানে কোলকাতার বিভিন্ন স্কুল থেকে দুর্বার সাড়া পাওয়া যায়। তীব্রতর প্রতিযোগিতার পরে ৪৫জন ফাইনালে অভিনয়, সঙ্গীত এবং নৃত্য বিভাগে উন্নীত হয় যেখানে গ্রান্ড ফিনালে পর্বে উন্নীত হওয়ার জন্য তীব্রতর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় 3রা ডিসেম্বর অর্কিড দ্য ইন্ট্যারন্যাশানাল স্কুল-এর নিউটাউন শাখায়।
ড্রিমক্যাচার্স সিজন ১-এর বিজয়ীরা হলেন -
অভিনয়
প্রথম পুরস্কার// এণাক্ষী মুখার্জী
দ্বিতীয় পুরস্কার// দিশা দাস
তৃতীয় পুরস্কার// দেবলীনা গড়াই
চতুর্থ পুরস্কার// রায়া কুন্ডু
পঞ্চম পুরস্কার// প্রিয়দর্শিনী মুখার্জী
নৃত্য
প্রথম পুরস্কার// আদ্রিয়ানা ধারা
দ্বিতীয় পুরস্কার// সৃজিতা নাগ
তৃতীয় পুরস্কার// মোন মিত্র বৈদ্য
চতুর্থ পুরস্কার// শুভময় মজুমদার
পঞ্চম পুরস্কার// আদ্যা
সঙ্গীত
প্রথম পুরস্কার//ইন্দ্রাক্ষী
দ্বিতীয় পুরস্কার// নিলাদ্রী হালদার
তৃতীয় পুরস্কার// হিরজী
চতুর্থ পুরস্কার// সানভী সাবা
পঞ্চম পুরস্কার// অরিন বক্সী
টলিউড অভিনেতা জিতু কামাল তার উত্তেজনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, “এই ড্রিমক্যাচার্স অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে আমি অভিভুত যেখানে আমি র ট্যালেন্টের ক্যানভাস দেখতে পেলাম যা পারফর্মিং আর্টস-এর ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের এক আভাস দিয়ে গেল। এই তরুন প্রতিভাধরদের প্রত্যেকের মধ্যে এক অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত রয়েছে যা আমাদের ইন্ডাস্টির আগামী দিনগুলিতে উজ্জ্বল করে রাখবে। পরবর্তী প্রজন্মের আর্টিস্টদের মধ্যে এইধরণের আবেগ এবং প্রতিশ্রুতি দেখতে পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়”।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কেএফটিআই-এর ডাইরেক্টর রুবিয়া ব্যানার্জী তার চিন্তাভাবনার কথা শোনাতে গিয়ে জানান, “এই ড্রিমক্যাচার্স অনুষ্ঠানে যে প্রতিভা এবং তরুন দক্ষতা উঠে এসেছে তা এককথায় আমাকে বিস্মিত করেছে। এই তরুন শিল্পীরা হলেন আমাদের আগামীদিনের মনোরঞ্জনের জগতের মশাল-বহনকারী। এই সৃজনশীলতার লালনপালনে অর্কিড-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের যাত্রা পূর্ণতা পেয়েছে এবং আমি এই তরুণ শিল্পীদের ফিল্ম ও টেলিভিশন জগতে আগামী দিনে উজ্জ্বলতরভাবে প্রজ্জ্বলিত হতে থাকবে এই দৃশ্য দেখার জন্য অত্যন্ত উত্সাহের সাথে অপেক্ষা করছি”।
অর্কিড দ্য ইন্টারন্যাশানাল স্কুল, কোলকাতার অ্যাকাডেমিক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. পারমিতা মিশ্র তাঁর উত্তেজনার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, “ড্রিমক্যাচার্স সিজন ১-এর সকল বিজয়ীদের আমি হার্দিক অভিনন্দন জানাই। আমি অত্যন্ত গর্বিত যে সকল অংশগ্রহণকারীদের তাদের হৃদয়ে বসবাসকারী অপরিমেয় সম্ভাবনাকে আলোকিত করতে দেখতে পেয়ে। অর্কিড দ্য ইন্টারন্যাশানাল স্কুলে আমরা সৃজনশীলতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত গর্বিত হই এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রদর্শিত আত্মোত্সর্গ এবং স্বভাবকে সাধুবাদ জানাই। এই ইভেন্টটি কলা, থিয়েটার, নৃত্য এবং সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ সহ ওয়েল-রাউন্ডেড ব্যক্তিদের লালনপালনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির একটি মাইলফলক চিহ্নিত করে”।
বিজয়ী ১ জানান, “এই পুরস্কার জিততে পেরে নিজে আমি অভিভূত। এটি সত্যি সত্যিই আমার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেছে। এই সুযোগটি আমাকে দেওয়ার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই অর্কিড দ্য ইন্টারন্যাশানাল স্কুলকে এবং ড্রিমক্যাচার্স নামক এই প্লাটফর্মে নিজের প্রতিভাকে সকলের সামনে তুলে ধরতে পারার জন্যও আমি এই স্কুলকে ধন্যবাদ জানাই। কেএফটিআই-এর বিচারকমন্ডলী এবং যেসকল প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গের এই অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতির জন্য এবং এই ফাইনাল পর্বের অনুষ্ঠানটিকে স্মরণীয় করে তোলার জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ”।
0 Comments