সপ্তর্ষি সিংহ , কলকাতা :-
বেলুন মিট্রাল ভালভুলোপ্লাস্টি' সফলভাবে ব্যবহার করে একটি যুগান্তকারী কার্ডিয়াক সার্জারি সম্পন্ন করল বেসরকারি হসপিটালস মেডিকা। পূর্ব ভারতে এই প্রথম 'ক্রনিক টোটাল অক্লুশন (সিটিও) পদ্ধতিতে ইমপেলা সাপোর্টের মাধ্যমে সফল সার্জারি হল দুই রোগীর দেহে।
চিকিৎসক দিলীপ কুমার বলেন," আমি একটা কথা বেশ জোর দিয়ে বলতে চাই যে আমরা এর আগে বেলুন মিট্রাল ভালভুলোপ্লাস্টি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি গর্ভবতী মহিলার উপর। তবে এটা ভারতে প্রথমবার সম্পন্ন হল, হয়তো পৃথিবীতেই। আমরা সফল ভাবে অস্ত্রোপচার করেছি গর্ভবতী মহিলার উপর। অস্ত্রোপচারের পর এখন ঠিক হওয়ার দিকে এগোচ্ছে, গর্ভবতী অবস্থায় ৩৬ সপ্তাহে দুটি সুস্থ যমজ বাচ্চার জন্ম দেন ছত্তিশগড়ে।
অন্য দিকে এই ইম্পেলা ট্রিটমেন্ট হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে খুব কম রোগী বিবেচিত হন। খুব কম কেস, প্রায় ১-২% রোগীর ক্ষেত্রে, যাদের পরিস্থিতি খারাপ এবং অ্যাডভান্সড সাপোর্ট ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব যাদের জন্য। এই ট্রিটমেন্ট তাদের জন্য স্বপ্ন, যাদের ক্ষেত্রে সাধারণ চিকিৎসায় সাফল্য খুব কম।
পূর্ব ভারতের বাইরে, এই ইম্পেলা ব্যবহার বাড়ছে, দক্ষিণ এবং উত্তর ভারতে ৩-৪ কেস দেখা গিয়েছে। বয়সের হিসেবে দেখা যায় যে ৫৮ থেকে ৫৯ বয়সের ক্ষেত্রে ইম্পেলা সফল হয়। এটা বোঝা যায় যে মধ্য বয়স্ক পপুলেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব থাকে যাদের কার্ডিয়াক সমস্যা থাকে।
মেডিকাতে আমাদের সেই দক্ষতা রয়েছে এবং আমরা প্রথম হসপিটাল যারা সফলভাবে এই যন্ত্রের ব্যবহার করেছি সেই সব রোগীর ক্ষেত্রে যারা কার্ডিওজেনিক শক এর মুখোমুখি হয়েছে এবং সেরে উঠতে সাহায্য করে।
তবে এই ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে ইম্পেলা ব্যবহারের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল চ্যালেঞ্জ শুধুমাত্র যে তা নয়, এর সাথে রয়েছে অনেকটা ফাইন্যান্সিয়াল ইনভেস্টমেন্ট, প্রায় ২৫ লাখ, ৪-৬ ঘণ্টার অপারেশনে। এই ফাইন্যান্সিয়াল দিক থেকে অনেকটাই কমিটমেন্টের প্রয়োজন এই প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষেত্রে।"
0 Comments