মৃত্যুঞ্জয় রায়, কলকাতাঃ বাঙালির পরিবার যত ছোট হয়েছে , তত হাত পুড়িয়ে রান্নার প্রয়োজন কমেছে। আধুনিক গ্যাজেট যত বেড়েছে সাবেকি রান্নার কৌলিন্য হারিয়েছে। বিকল্প হয়ে উঠেছে বাঙালি হেঁসেলের রেস্টুরেন্ট। বাংলা শুধু নয়, দেশ জুড়েই বাঙালি রেস্টুরেন্টের এখন স্বমহিমায় উপস্থিতি।
এমনই এক প্রতিষ্ঠান স্বাদে আহ্লাদে বাঙালিয়ানার আহারে বাঙালী। বাঙালি ব্যাবসায়ী রঞ্জন সাহা এবং নেপাল সাহা কলকাতার সল্টলেক , দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বাগুই হাটি, দমদম নাগেরবাজারে আহারে বাঙালী রেস্টুরেন্টের চারটি শাখায় পরিষেবা দিচ্ছেন। বুধ সন্ধ্যায় উত্তর কোলকাতার ঐতিহ্যময় লুপ্ত প্রেক্ষাগৃহ রূপবানী প্রাঙ্গণে গড়ে তুলেছেন পঞ্চম শাখা। প্রথম দিনে একটি এন জি ও পরিচালিত প্রান্তিক শিশুদের ভরপেট খাইয়ে পুজোর জামাকাপড় দিয়ে শুভ সূচনা করলেন। প্রায় ৭০ আসন বিশিষ্ট এই রেষ্টুরেন্টের অঙ্গসজ্জা গড়ে তোলা হয়েছে সাবেকি বাঙালির পট চিত্রের অনুকরণে।
ক্রম তালিকায় যথারীতি বাঙালি খাবারের শতেক আয়োজন। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের দাবি,আমাদের বিশেষ পদ গোলমরিচ মুরগি আর কোথাও পাবেন না। শুরুতে স্বাগত পানীয়তে নজর কাড়ে আম পানের সরবত। সঙ্গে ২৯৯ -র মটন থালি বিশেষ আকর্ষণ। আমিষ তালিকায় নজর কাড়ে ডাব ইলিশ, আম কাসুন্দি চিকেন এছাড়াও ইলিশ, কাঁকড়া , চিতল মাছের পদ। এছাড়া মাংস মুরগি ,বা মটনের বহু পদ। শেষ পাতে ডাবের পায়েস যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। কম্বো এবং থালিরও আয়োজন আছে। নিরামিষভোজীদের জন্যও আছে বিশেষ লোভনীয় পদের আয়োজন। লুচি থেকে পনিরের কাটলেট , শুক্তো থেকে ফুলকপির মালাইকারি কিম্বা ১৩৯ টাকার নিরামিষ থালি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই রেস্টুরেন্ট খোলা সকাল ১২ টা থেকে রাত ১১ টা। হোম ডেলিভারির জন্যও রয়েছে ব্যবস্থা। যুগলদের নিরিবিলিতে বসার জন্য আছে জরা হাটকে পরিবেশ।উত্তর কলকাতার রেস্টুরেন্টের তালিকায় এই নতুন সংযোজন রসনা প্রিয় বাঙালির কাছে এবারের পুজোয় নতুন উপহার আহারে বাঙালী।
0 Comments