Header Ads Widget

Responsive Advertisement

NB News! অখিল ভারত জয়গুরু সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মহামিলন মঠে পালিত হলো আচার্য সর্বাধীশ কিঙ্কর বিঠ্ঠল রামানুজ মহারাজের ৭৭ তম জন্মদিন


কলকাতা,ডিজিটাল ডেস্কঃ ওঁ অখণ্ড মঙ্গলাকারম ব্যস্তং যেন চরাচরম তৎপদম দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরু নম। গুরু মন্ত্রে বন্দনা করে অখিল ভারত জয়গুরু সম্প্রদায়ের   অনুসারী ভক্তরা আচার্য সর্বাধীশ বিঠ্ঠল মহারাজের সুদীর্ঘ আয়ু কামনা করে   তাঁর ৭৭ তম  জন্মদিন পালন করল শুক্রবার সকালে।
  
     কেন্দ্রীয় কার্যালয়  কলকাতার ডানলপের  কাছে গড়ে ওঠা মহামিলন মঠে ভক্তমণ্ডলী সম্প্রদায়ের বর্তমান আচার্য  ও সর্বাধীশ  বিঠঠল মহারাজের জন্মদিন পালনে সম্প্রদায়ের পক্ষে মূল উদ্যোগ নেন  কিঙ্কর প্রিয়  চট্টোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ কিঙ্কর শিবা নন্দ, মঠাধ্যক্ষ   ড: শোভন ভট্টাচার্য, সহ মঠাধ্যক্ষ কিঙ্কর অরবিন্দ, কর্মাধ্যক্ষ  দীপক দেবনাথ।
  
      একদিকে গীতা পাঠ অন্যদিকে বিভিন্ন সাধু ও সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের ব্যক্তিত্বরা মহারাজকে শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানাতে হাজির ছিলেন। সম্প্রদায়ের পক্ষে আগত সাধু সন্ন্যাসীদের পুষ্প স্তবক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। বক্তারা প্রত্যেকে হিন্দু ধর্মে ক্ষয়িষ্ণুতার জন্য সংশয় প্রকাশ করেন। ভোগবাদী হাতছানিতে হিন্দু ধর্মের মানুষ নিজের ধর্মের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ছেন। নতুন প্রজন্মকে হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য প্রচার করতে মানুষকে উদ্যোগী হতে হবে।

       এই সম্প্রদায়ের আরাধ্য সীতারাম ওঙ্কারনাথজী মহারাজ। আধ্যাত্মিক পরিসরে বিশ্বব্যাপী অসংখ্য ভক্তের দিশা তিনি। তাঁর প্রথম এগারো জন শিষ্য যাঁদের তিনি দীক্ষা দেন ভগবৎ মন্ত্রে। তাঁদের অন্যতম বিঠঠলজী মহারাজ রামানুজ। ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম  শ্রেণীতে প্রথম হয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন তাঁর প্রজ্ঞা। তারপর থেকে তাঁর ঐশ্বরিক দর্শনে প্রভাবিত করেন ভক্তদের।  এই মুহুর্তে মহানির্বাণ মঠের প্রাণপুরুষ বিঠঠলজী রামানুজ  মহারাজ। সীতারাম ওঙ্কারনাথজীর দর্শনের আধারে সর্বাধীশ বিঠঠল রামানুজের লেখা দু খণ্ডে নব নব রূপে এসো গ্রন্থটি বিপুল জনপ্রিয়। এছাড়াও তিনি কাব্য সাহিত্যের মাধ্যমে সীতারাম  ওঙ্কারনাথজীর আধ্যাত্মিক দর্শন ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বব্যাপী। মঠের একদিকে রাধা কৃষ্ণের আরতি, নামগান , অন্য প্রান্তে অখণ্ড  যজ্ঞ চলে বৈদিক  মন্ত্রে কিশোর সন্ন্যাসীদের ঘৃতাহুতি ভক্তদের মধ্যে সাড়া জাগায। কয়েক হাজার  ভক্ত আসেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
ছবি মৃত্যুঞ্জয় রায় 

Post a Comment

0 Comments