Header Ads Widget

Responsive Advertisement

News A Bangla ! নির্যাতিতা মহিলাদের মূল স্রোতে ফেরাচ্ছে ‘জীবিকা’


প্তর্ষি সিংহ, কলকাতা:

রা কেউ স্বামীর দ্বারা অত্যাচারিত আবার কেউ গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। ওরা মানে মুনমুন, মালতি,সুপর্নাদের মতো হাজার হাজার মহিলা। 

যারা হিংসার শিকার হওয়া মহিলা ও কন্যা শিশুদের  সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘জীবিকা’।

 ৯০ এর  দশকের প্রথম দিকে এই প্রতিষ্ঠানের পথ চলা শুরু। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ১,২, বজবজ ১,২ ও  মহেশতলা ব্লকের ৭৫ টির বেশি গ্রামে ১৩০০০-রও বেশি প্রান্তিক মহিলা এবং কন্যা শিশুদের ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।

এছাড়া লিঙ্গ সমতা বিষয়ক প্রচার, পিতৃতান্ত্রিক নিয়মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা, বাল্যবিবাহ বন্ধ করার পাশাপাশি মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা এমনকি পরিবেশ রক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাবের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা সহ নানা কাজে সহযোগিতা করছে তারা।

জীবিকার ৩০ বছর উপলক্ষে এই সব কর্মকান্ড তুলে ধরার পাশাপাশি 

‘প্রান্তিক নারীদের উন্নয়নের মাধ্যমে নারী অধিকার এবং ক্ষমতায়নের দিকে যাত্রা’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হল কলকাতার রোটারি সদনে।

এদিন নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় লিঙ্গ-ভিত্তিক সাম্যতা,বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রচার,গার্হস্থ্য হিংসা প্রতিরোধের উপায় সহ নানা বিষয় । 

সংস্থার নির্দেশক ডালিয়া রায় বলেন, ইতিমধ্যেই তারা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হওয়া ১৬৭৭ জন মহিলা ও কন্যাশিশুকে আলোর দিশা নামক স্বেচ্ছাসেবী দলের মাধ্যমে আইনি পরিষেবা প্রদান করেছেন। তার ফলে প্রান্তিক মহিলারা নিজেদের উপরে হওয়া নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনি স্তরে এবং প্রশাসনিক স্তরে মোকাবিলা করার সাহস পাচ্ছে।

এদিনের আলোচনা নারীর অধিকার এবং ক্ষমতায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে তারা মনে করেন।

শিশু অধিকার ও বাল্যবিবাহ রুখতে আগামী দিনে কিভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারেও এদিন আলোচনায় অংশ নেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। 

নাটকের মাধ্যমে অত্যাচারিত মহিলারা তাদের নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন। 

উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যা দুর্বা সেন সহ বহু বিশিষ্ট মানুষ।

Post a Comment

0 Comments